ফতুল্লা প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরমানুল ইসলাম রোহান (২২) হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এর আগে, বুধবার রাতে ফতুল্লা থানার তল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা চিটাগাংরোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দু্জন হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকার মৃত নূর ইসলামের ছেলে মো. শাহ আলম (৩৫) এবং একই থানার বাগানবাড়ি এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (৩২)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গত ১০ জুলাই রাতে আরমানুল ইসলাম হোসেন (২২) ও আরমানুল ইসলাম রিপন (২০) নামের দুই ভাই তারাবোর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে সৌদিয়া বসে উঠলে পরেরদিন ১১ জুলাই ভোর ৫ টায় তারা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিম পাশে নামেন। সেখান থেকে তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিত পাশে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর আসলে অজ্ঞাতনাম ছিনতাইকারীরা দুই ছেলেকে আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন দুই ভাই তাদের টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে বাধা দেন হত্যাকারীদের। তবে বাধা দেয়ার সাথে সাথে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারীভাবে পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে যান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের চিৎকার শুনে তাদের চাচাতো ভাই গোলাম মোস্তফা সহ আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সহায়তা নেন। পরে সেখানে থাকা মানুষজন তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দিন সকাল ৮ টায় আরমানুল ইসলাম রোহানকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং আরেক ভাই আরমানুল ইসলাম রিপন (২০) তখন থেকে আইসিওতে ভর্তি আছেন। আসামিদের থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, নগদ ১৫০০ টাকা ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।