আমাকে নমিনেশন দিয়েন না, প্রধানমন্ত্রীকে শামীম ওসমানের চিঠি

নিজস্ব প্রতিনিধি :

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, আমিও চাই নৌকা তিনশ আসনে পাশ করুক। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল প্রার্থী অনেক থাকতে পারে। নির্বাচন নিয়ে যে এখন চিন্তা করবে সে আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ার যোগ্য না। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে দিয়েছি, ‘আমাকে নমিনেশন দিয়েন না।’ সবাই যেখানে চায় আমি সেখানে বলেছি দিয়েন না। আমি বলেছি, আমাকে অন্যভাবে কাজে লাগান। আমি মনে করি, আমি এমপি হলে কী হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে আমার মেয়েকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে যাবে। ওরা তারা যারা একুশে আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল। 

বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ১৩ অক্টোবর সমাবেশ ঘিরে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

পূজা উৎসবে আঘাত হানা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা একাত্তরের চেয়েও বড় যুদ্ধ। আমি সারারাত ঘুমাই না। আমি অন্য কারো মত না। আমি খবরগুলো পাই। ওরা কোনদিক দিয়ে আগাচ্ছে সেগুলো আমি জানি। আর ওরাও জানে আমি কোনদিক দিয়ে আগাচ্ছি। আই এম এ সোলজার। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আসছে পূজার মধ্যে ও পূজার পরে মরণকামড় দিবে। দেশটাকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে পারবে না। কারণ শয়তান কখনো আল্লাহর রহমতের সাথে পারেনা। 

সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে যদি ওরা হত্যা করতে পারে আফগানিস্তানের চেয়েও দেশের খারাপ অবস্থা হবে। পূজার পরে একটা মারাত্নক আঘাত আসবে। এই আঘাতে শামীম ওসমান নাও থাকতে পারে। উই আর রেডি টু ডাই। আমরা প্রয়োজনে জীবন দিব। তবুও শেখ হাসিনার জন্য যা যা করার দরকার করবো। 
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সড়যন্ত্র হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ষড়যন্ত্র হয় নাই, হবেও না। ওদের টার্গেট শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে বাঁচান দেশকে বাঁচান। ওরা ফিলিস্তিনের মত আমাদের দেশকে করতে চায়। সুতরাং উই হেভ টু ফাইট, উই হেভ টু লিভ। 
কমিটি প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, অনেকগুলো কমিটি আটকে রেখেছে। আওয়ামী লীগের কমিটি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কমিটি মুলার মত ঝুলিয়ে রেখেছে, এটা ঠিক না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতেছি, নারায়ণগঞ্জ যা করতে পারবে ঢাকা তা পারবে না। কারণ নারায়ণগঞ্জকে অন্য জেলার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সহ প্রমুখ।