আশ্রয়নের ঘর দেওয়ার কথা বলে লাখ টাকা লোপাট !

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে গৃহহীনদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলম। দীর্ঘ দুই বছর ধরে এই টাকা ফেরত চেয়ে উল্টো হুমকির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগিরা। 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুক্তভোগিরদের সাথে কথা হয়। 

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন তারা। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোন সুফল পাননি তারা।

অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগি নয়ন মনি বলেন, আমি একজন গৃহহীন হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামী-সন্তান নিয়ে বিভিন্ন সময় মাটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসতেছি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহায়ন ও আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনের দুস্থ ও গৃহহীন ব্যক্তিদের ঘর সহ ভূমি দিয়ে আসতেছে। গত দুই বছর পূর্বে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে গোগনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলম আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে প্রকল্পের ঘর আমাকে দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় আমার টাকা ফেরত চাইলে গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অজুহাত দেখিয়ে নানা টালবাহানা করে আমাকে হয়রানি করছে। এমনকি আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম বলে, ‘চেয়ারম্যানের কাছে টাকা আছে। চেয়ারম্যান টাকা ফেরত দিলে টাকা পাবে।’

একইভাবে ওই ইউনিয়নের গৃহহীন মুক্তা রানী সরকারের কাছ থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা, সাথী আক্তার দেড় লাখ টাকা, সালমা আক্তার এক লাখ ৫৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গোগনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলম। এভাবে আরও ৫ জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই বছর আগে  গোগনগরের সৈয়দপুর এলাকায় অবস্থিত মুজিব নগরে ১৫৬ টি ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয় গৃহহীনদের কাছে। তবে প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বেশ পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজর আলী এবং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোগনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্র করে এসব করছে।