নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এবার পবিত্র কাবা আল্লাহর ঘর ও নবীজির রওজা রিয়াদুল জান্নাহ গিয়ে কসম খেয়েছি এই জেলাকে (নারায়ণগঞ্জ) মাদকমুক্ত করব। আমি হাতজোড় করে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনাদের সহায়তা চাই।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এলাকাবাসীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে একথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, আমি বহুদিন আগে একবার কাবা শরিফে গিয়ে কসম খেয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জের নিষিদ্ধ পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করব।এটি খুব সহজ কাজ ছিল না। এর আগে পেছনে অনেক প্রভাবশালী লোকেরা জড়িত ছিল।আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম। তিনি আমাকে সর্বাত্মক সাহায্য করেছিলেন।এমনকি এই পতিতাপল্লী উচ্ছেদে তিনি আর্থিকভাবে সহায়তা করেছিলেন। পরবর্তীতে আল্লাহর ইচ্ছায় ওই পল্লী উচ্ছেদে আমি সক্ষম হয়েছি। শুধু নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করিনি; সেই নিষিদ্ধ পল্লীতে থাকা অনেকেই হজ পালন করে গঠনমূলক জীবনযাপন করছেন। তাদেরকে পুনর্বাসনও করা হয়েছিল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেখানে ১১ বছরের শিশুও ছিল হাজারের মতো।
তিনি বলেন, এবার পবিত্র কাবা আল্লাহর ঘর ও নবীজির রওজা রিয়াদুল জান্নাহ গিয়ে কসম খেয়েছি এই জেলাকে মাদকমুক্ত করব। আপনারা আমাকে সরাসরি না হয় গোপনে সহায়তা করুন, কারা মাদকের সঙ্গে জড়িত? মনে রাখবেন মাদকের পেছনেও প্রভাবশালীরা রয়েছে।
সংসদ সদস্য বলেন, মাদক বিক্রেতারা ইবলিস শয়তান। মাদকের বিরুদ্ধে আমার এই জিহাদে আপনারা আমাকে সহায়তা করুন। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই মাদকের সঙ্গে যদি আমার কোনো লোক জড়িত থাকে আমাকে জানান আমাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন গোপনে সহায়তা করুন কঠিন কঠোর দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল হোসেন প্রমুখ।