আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর লড়াই দৃশ্যমান হচ্ছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (এমপি) প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়ার মধ্যেকার বাকযুদ্ধ সহ পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনা, নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর সহ নানা অভিযোগের ঘটনা সেই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালছে। এতে করে ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠ তত উত্তপ্ত হচ্ছে। তবে নানা সমীকণের হিসেব কষে, উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে এবং ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভোটের লড়াইয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী এগিয়ে আছেন।
জেলার ৫টি আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এই আসনে ৯ জন প্রার্থী রয়েছে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (এমপি), তৃণমূল বিএনপির দলীয় সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেটলি প্রতীকে শাহাজাহান ভূঁইয়া,জাতীয় পার্টির দলীয় প্রতীক লাঙ্গল এর প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে গাজী গোলাম মর্তুজা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলমিরা প্রতীকে হাবিবুর রহমান, জাকের পার্টির দলীয় গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. জোবায়ের আলম,স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী,ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে দলীয় চেয়ার প্রতীকে এ কে এম শহিদুল ইসলাম।
কাগজে কলমে ৯ জন প্রার্থী হলেও নির্বাচনী মাঠে ৪ জন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে। হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া। এছাড়া প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম। আর বাকি প্রার্থীদের মধ্যে ডামি প্রার্থী সহ ইসলামিক রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে তাদেরকে সেভাবে দেখা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত আব্দুল মতিন চৌধুরী এই আসন থেকে দুই বার বিজয়ী হয়েছেন। তবে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে টানা তিন মেয়াদে (২০০৮, ২০১৪, ২০১৮) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। এবং শেষ পর্যায়ে এসে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন তিনি। ফলে ওই আসনে তার হাত ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যেকারণে এখানে তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।
রূপগঞ্জের সড়ক থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। রূপগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির তথ্য অনুসারে, গত ১৪ বছরে রূপগঞ্জ উপজেলায় সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৩৪৯ কিলোমিটার। কালভার্ট নির্মিত হয়েছে ১৪টি, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে ২৩১টি। সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে ৩৮ কিলোমিটার। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে ৯৭টি। এছাড়া উপজেলার মুড়াপাড়া-দড়িকান্দি এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক সেতু নির্মাণ করা হয়, যা ছিল তার আমলে উল্লেখযোগ্য কাজ। এই সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, ডিগ্রি কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমে গতি বাড়াতে প্রায় অর্থশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি। বিগত তিন মেয়াদে এই আসনে উন্নয়নমূলক কাজ করে জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বলে দাবি করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, রূপগঞ্জে জনগণের কোনো চাহিদা নাই। রাস্তা ঘাট, স্কুল কলেজ সবাই এখানে হয়েছে। সুতরাং আমাকে ভোট না দেয়ার কারণ দেখি না। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদি।
তবে নির্বাচন প্রতিহত করতে প্রতিপক্ষের লোকজন নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে উল্লেখ করে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রতিপক্ষের কিছু দুষ্ট লোকেরা নির্বাচনকে প্রতিহত করতে চায়। আমার নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার দেখে প্রতিপক্ষ ভয় পেয়েছে।
ভূমিদস্যুরা রূপগঞ্জকে খেয়ে ফেলবে শঙ্কা প্রকাশ করে পাটমন্ত্রী বলেন, ভূমিদস্যুরা একটা লোককে পুতুল এমপি বানিয়ে রূপগঞ্জকে খেয়ে ফেলবে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তবে জনগণ সেই খেলা বুঝে গেছে, তারা নৌকাকে বেছে নিবে। একইভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের ক্যাম্প ভাঙচুর সহ প্রচারণার কাজে বাধা দেওয়ার নানা অভিযোগ করেন শাহজাহান ভূইয়া। তবে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার এককভাবে মন্ত্রী গাজীর বিরোধীতা করে নানা অভিযোগ করেছেন। এই আসনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। বিএনপি দল থেকে বহিষ্কার হয়ে অনেকটা চমক দেখিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৃৃণমূল বিএনপির মহাসচিব হয়েছেন তৈমুর আলম খন্দকার। দলীয় সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে বেশ জোরে শোরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিএনপি, অ্যান্টি আওয়ামী লীগ সহ আওয়ামী লীগের অবমূল্যায়িত নেতাকর্মীদের ভোট টানতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে, এক সময় রিকশা-ভ্যান চালকদের নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার। পরে ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। এরপর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষপদে একাধিকবার ছিলেন। বিএনপির চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টা পদের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি ছিলেন বিএনপির প্রার্থী। শেষ মুহূর্তে দলের সিদ্ধান্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে দেশব্যাপী তখন আলোচনায় এসেছিলেন। ২০২২ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাথে লড়াই করে পরাজিত হয়েছেন। সেই নির্বাচনটি বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। ফলে ওই সময় দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর দীর্ঘ দেড় বছর পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসে তিনি তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে মহাসচিব পদ পেয়েছেন।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্র বলছে, জনগণের ভোট টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি নিজেকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলের জন্য নিরাপদ বলে দাবি করছেন। এছাড়া ভূমিদস্যু, মাদক ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান রয়েছে উল্লেখ করে ভোটারদের ভোট টানতে চাইছেন। আর স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের ভোট টানতে বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি ও ধরপাকড় বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে তার আশে পাশে দেখা গেছে। তারা প্রকাশ্যে তৈমুরের পক্ষে নির্বাচনী কাজে নেমেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালানোর বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপি ও তৃণমূল বিএনপির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার সাথে হাটছে, তারা আমার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করছে। আজকে রূপগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মী ধরপাকড় বন্ধ রয়েছে আমার জন্য। আমার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এটা হয়েছে।আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন, এখানে সুষ্ঠু ভোট হবে। আর আমি যেহেতু একটা দলের মহাসচিব সেহেতু মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর এখানে থাকবে। তাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রূপগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এদিকে, গত
২৯ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার সহ দলটির চেয়ারপারসন শমসের মোবিন চৌধুরী কে বেঈমান আখ্যা দিয়েছেন দলটির ৬০ জন প্রার্থী। অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে যোগাযোগ বন্ধ রাখা ও নির্বাচনী বিশেষ ফান্ডের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ করা হয়। তবে তৈমুর আলম খন্দকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর আগে, তৃণমূল বিএনপিতে যোগদানের সময়ে বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা তাকে বেঈমান হিসেবে সম্মোধন করে সহ নানা সমালোচনা করেছেন। ফলে বিএনপি দলটির বড় অংশের ভোট তার বাক্সে পড়বে না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। সেই হিসেব কষে ভোটের সমীকরণের বেশ পিছিয়ে আছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা। অপরদিকে টানা
তিন বার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়া এবার নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেটলি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নেমে ভোটারদের ভোট টনাতে গণমাধ্যমে ঢালাওভাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলছেন, নৌকার প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন তার ক্যাম্প ভাংচুর করেছে। এছাড়া তার নেতাকর্মীদের প্রচারণায় বাধা ও মারধরের অভিযোগ করেছেন। আর বিগত ১৪ বছরে এখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ও অবমূল্যায়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ভূমিদস্যুতা সহ স্থানীয় পর্যায়ের নানা অপকর্মের সাথে স্থানীয় এমপির লোকজন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্র বলছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘ সময় ধরে গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে রাজনীতি করেছেন। ওই সময়ে তাদের মধ্যে কোন বিরোধ দৃশ্যমান হয়নি। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন তিনি। তবে এসব ঘটনার মধ্যে শাহজাহান ভূইয়ার নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে গণসংযোগকালে দাউদপুর ইউনয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টারের প্রকাশ্যে টাকা বিতরণের ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ এক প্রকারে চাপা পড়ে যায়। এরপর নির্বাচনী আচরণবিধিী লঙ্ঘন করে গণভোজের আয়োজন করে বেশ সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এছাড়া বড় একটি ব্যবসায়ীক গ্রুপের প্রকাশ্য ও পরোক্ষ সমর্থনের ফলে তিনি মূলত নৌকা প্রতীকের বিরোধীতা করে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। ফলে সে বিষয়টি স্থানীয় ভোটারা খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি।
তবে ভোটারদের ভাবনায় সকল কিছু ছাপিয়ে নৌকা প্রতীক তথা আওয়ামী লীগের আমলের উন্নয়ন গুরুত্ব পাচ্ছে। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া এলাকার দোকানি ফরিদ মিয়া। তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী অনায়াসে জয়ী হবে। কারণ তার আমলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে মাদকের কারনে এই চনপাড়া অভিশপ্ত রয়ে গেল। শুধুমাত্র মাদক নির্মূল করতে পারলে পুরো এলাকাজুড়ে শান্তি বিরাজ করবে বলে তিনি জানান। গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার চায়ের দোকানে বসে গল্পগুজব করছেন ষাটোর্ধ্ব আলম মিয়া। তিনি বলেন, ‘তৈমুর আলম খন্দকারকে সাধারণ জনগণ এখনো সেভাবে চিনেনা। তবে তার নাম শুনেছি। আর শাহজাহান ভূইয়া এক সময়ে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে রাজনীতি করতো। এখন বড় একটা ব্যবসায়ীক গ্রুপের পক্ষ নিয়ে তিনি ভোল পাল্টেছেন। পেয়েছেন নানা সুবিধা। নির্বাচনে নেমে নতুন বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এগুলো নিয়ে চারদিকে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। তবে সে দিক বিবেচনায়
মন্ত্রী গাজীর সময়ে রূপগঞ্জে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সে হিসেবে মন্ত্রী গাজী এগিয়ে আছে বলে আমার মনে হয়।