বাংলার নারায়ণগঞ্জ ডটকম : নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠেছে। আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি দলের নেতাদের। তবে পুলিশ বলছে, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফয়সাল আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ পনেছ, রূপগঞ্জ থানা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চৌধুরী, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সদস্য মো. হুমায়ুন, জেলা শ্রমিকদল নেতা মো. কামাল হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, বিএনপি নেতা মো. সোহেল, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. মাসুদ, ১০ নম্বর ওয়ার্ড নেতা মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খোরশেদ মোল্লা ও অ্যাডভোকেট সিদ্দিক এবং সদস্য মো. সামসুল হক।
গ্রেফতার বাকিরা হলেন, রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন মুন্সি, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সোনারগাঁয়ের সাদীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য মো. হারুন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল কর্মী কাউসার আহমেদ রানা, মহানগর যুবদল নেতা মেহেদী, মহানগর যুবদল নেতা জাহিদ, সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব হাসান, আড়াইহাজার সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মিয়া, আড়াইহাজার সাতগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফরহাদ খন্দকার, রূপগঞ্জের চনপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, রূপগঞ্জের চনপাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, ফতুল্লা বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ হারুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম তারেক, নাসিক ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. মনির হোসেন ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, এখনো সবাইকে আদালতে আনা হয়নি। কয়েকজনকে আনা হয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরও কারাগারে পাঠানো হবে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে আমাদের ৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সবাইকে গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা বলেন, আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল টিম অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যারা পরোয়ানাভুক্ত আসামি তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা কোন বিশেষ অভিযান ছিলনা।
প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) বিএনপি আয়োজিত সরকার পতনের এক দফা দাবির জনসমাবেশে থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন।