নিজস্ব প্রতিনিধি :
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার রীতিমত চমকে দিয়ে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বিএনপি আমাকে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে। আমি তো দল ছাড়িনি। একজন বহিষ্কৃত লোক কত বছর একটা পতাকা টেনে নিতে পারে? এখন আমার পরিচয় কী? মারা গেলে আমার পরিচয় কী হবে? কোন ব্যানারে আমি বক্তব্য দেব। আমার জন্ম তো রাজপথে। আমি মানুষের জন্য কথা বলতে চাই। সারাজীবন বলে আসছি।এই অভ্যাস আমি কীভাবে পরিবর্তন করব?
তিনি বলেন, আমার বয়স এখন ৭২ চলছে। এত বছর পুলিশের মার খেয়ে, জেল খেটে, গুলি খেয়ে, অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করেও যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারিনি এখন সেটা কীভাবে পরিবর্তন করব?যেহেতু বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে, সেহেতু আমাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। আমি সেখানেই যাচ্ছি। আশা করি শীর্ষ পদেই থাকব।
জানা গেছে, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত কাউন্সিলে বিএনপির সাবেক, বহিষ্কৃত ও নিষ্ক্রিয় একঝাঁক নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা যুগান্তরকে জানান, কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নামের সঙ্গে মিল থাকা তৃণমূল বিএনপিতে নতুন চমক থাকছে। দলটির শীর্ষ দুই পদে আসতে যাচ্ছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) তৈমূর আলম খন্দকার। শুধু তারা নয়, পর্যায়ক্রমে বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময় বাদ পড়া এবং নিজ থেকে ছেড়ে দেওয়া নেতারাও যোগ দেবেন। এ তালিকায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ-সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারও আছেন।
তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। এ তালিকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও আছেন। সবাই ভালো পদে থাকবেন বলে আশা করি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায় তৃণমূল বিএনপি। দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘সোনালি আঁশ’। নাজমুল হুদার মৃত্যুর পর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তার মেয়ে অন্তরা হুদা।