নারায়ণগঞ্জ শহরের দিগু বাবুর বাজারে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয়কারীর সন্ধান দিয়ে বিভিন্ন ব্যানার সাটানো হয়েছে। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দ্বিগুবাবুর বাজারের বিভিন্ন স্থানে ‘মডেল কৃষি পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র’ গড়ে তুলার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
বাজারে ব্যানার টাঙানোর কার্যক্রম পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (অতিরিক্ত সচীব) মো. মাসুদ করিম, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হকের নির্দেশনায় গতকাল (১১ ডিসেম্বর) দ্বিগুবাবুর বাজারে পেঁয়াজের আড়তে অভিযান পরিচালনা করি। তার পরিপ্রেক্ষিতে একই দিন পেঁয়াজ আড়তের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনায় বসেন জেলা প্রশাসক। সেখানে ব্যবসায়ীদের নীতি-নৈতিকতা, কিভাবে ন্যায্য মূল্যে ভোক্তাদের হাতে পেঁয়াজ এনে দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় ব্যবসায়ী সেলিম এগিয়ে আসেন এবং যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় করার ইচ্ছে পোষণ করেন। তিনি আমাদের কাছ থেকে সাহায্য চান, যাতে পেঁয়াজ বিক্রয়ের সময় কোন চাপে না পড়েন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে বাজারে কিছু কিছু জায়গায় উনার আড়তের সন্ধান দিয়ে ব্যানার টাঙিয়েছি। এতে করে ভোক্তারা ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ করার সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্ল্যান হলো নারায়ণগঞ্জে প্রতিটি কৃষি পণ্য যেমন চাল, ডাল, আলু, তেল, মাংস এগুলোর ক্ষেত্রে কিছু মডেল দোকান তৈরী করা। আমরা ইতোমধ্যে তারেই চেষ্টায় আছি। মডেল দোকানের ব্যবসায়ীরা যৌক্তিক বা ন্যায্য মূলে ভোক্তাদের নিকট পণ্য বিক্রি করবেন। এরকম করতে যারা আগ্রহী তাদের আমরা প্রোমোট করবো, তাদের জন্যে আমরা ব্যানার করে বিভিন্ন স্পটে টাঙিয়ে দেব। সেই সাথে তাদের আমাদের পক্ষ হতে সব ধরণের সহযোগিতা করবো। পাশাপাশি দোকানগুলো আমরা মনিটোর করবো।
ব্যানার টাঙানোর কার্যক্রম সমপন্ন করার পর বাজারের বিভিন্ন মুরগির ও মাংসের দোকানে মনিটরিং করেন কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। এসময় ব্যবসায়ীদের কৃষি বিপণন লাইসেন্স, নীতি-নৈতিকতা মেনে যৌক্তিক মূল্যে মাংস বিক্রি করার নির্দেশনা দেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের কাছে মাংসের ও মুরগির বাজার নিয়ে অভিযোগ এসেছে। ওজনে কারসাজি, অন্যান্য বাজারের তুলনায় দ্বিগু বাবুর বাজারে মাংসের দাম বেশি এমন অভিযোগ আমরা পাই। এ কারণে আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে আসি ও তাদেরকে সতর্ক করি।
বাজারে মনিটরিং এর ব্যাপারে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা রেগুলার মনিটরিং করে থাকি। তবে এখন থেকে আরও ভোলোভাবে মনিটরিং করবো। যারা যৌক্তিক মূল্যে পণ্য করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা বেশি দামে বিক্রি না করেন সে বিষয়ে খেয়াল রাখবো আমরা। আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।