শহর প্রতিনিধি :
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে দীর্ঘ ৮ মাস পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এতে হাজার হাজার যাত্রীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার (১আগস্ট) সকাল থেকে ট্রেন সার্ভিসটি চালু হয়েছে।
ট্রেন চলাচলের ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন যাত্রীরা। ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতকারী চাকুরিজীবী কামাল হোসেন বলেছেন, ট্রেনের ভাড়া একটু বেড়েছে, তবুও আমরা খুশি। কারণ বাসে প্রায় চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
স্টেশনের পাশে চায়ের দোকান খুলে বসেছেন রফিক মিয়া। তিনি বলেন, অনেক মাস ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় লোকসান গুনতে হয়েছে। আজ থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সেই সাথে বেচা বিক্রি বেড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার কামরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ কাজের জন্য গত ডিসেম্বর থেকে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ৮ মাস পর আজ সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দৈনিক ৮টি ট্রেন দুবার যাতায়াত করবে। ট্রেনের টিকিট প্রতি ভাড়া ৫ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য এ রুটে রেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেতুর রেল সংযোগ সড়কের কাজ শেষ দিকে রয়েছে বলে জানাগেছে। প্রতিদিন ৮টি করে মোট ১৬টি ট্রেন এই রুটে চলাচল করতো। দৈনিক ১০ থেকে ১২ হাজার যাত্রী ট্রেনে করে যাতায়াত করতো।
খোাঁজ নিয়ে জানাগেছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে জনপ্রতি ট্রেন ভাড়া ১৫ টাকা এবং ডেমো ট্রেনের ভাড়া টিকিট প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করা হতো। অথচ একই রুটে বাস ভাড়া প্রায় চারগুণ বেশি। নন এসি বাসে জন প্রতি টিকিট ৫৫ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ৮০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। যেকারণে যাত্রীদের একটা বড় অংশ ট্রেন সার্ভিস কে বেছে নিতো ।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন ও পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।