ফতুল্লা প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ভুইগড় থেকে স্বামী- স্ত্রী সহ প্রতারক চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের ফাদেঁ ফেলে বাড়িতে ডেকে এনে আপত্তিকর ছবি তুলে ও ভিডিও করে তারা ব্ল্যাকমেলিং করে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো। এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার ভুইগড় আবাসিক এলাকা থেকে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হৃদয় হোসেন(৩২)নামের এক যুবক কে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া যুবক হৃদয় হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার নয়াডিঙ্গি তারাসীমা গার্মেন্টস সংলগ্ন আব্দুল মান্নান প্রধানিয়ার পুত্র । তিনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর ভুইগড়ের নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া আঃ হাইয়ের পুত্র মোঃ মোরশেদ আলম(৩৫), তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন(৩৩), ঢাকা জেলার শেরে-বাংলা নগর থানার আগারগাও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কোয়ার্টারের কোরবান আলীর পুত্র মোঃ নয়ন আলী(২৯) ও ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর ভুইগড়ের নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া শাহিন আলমের স্ত্রী কান্তা মনি (২২)।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইল ফোনে বাসায় ডেকে এনে নগ্ম করে তরুনী দিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে ও ভিডিও ধারন করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মতো অপরাধ করে আসছিলো। রোববার এই প্রতারক চক্রটি মোবাইল ফোনে কান্তা কে দিয়ে ফোন করে মানিকগঞ্জ থেকে হৃদয় কে ভুইগড়ের বাসায় ডেকে এনে চার লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। সংবাদ পেয়ে রাত এগারোটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে স্বামী- স্ত্রী সহ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় আটকে রাখা যুবক হৃদয় কে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন দিন ধরে প্রেমের ফাদে ফেলে মোবাইল ফোনে বাসায় ডেকে এনে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেলিং করে অর্থ আদায়ের মতো অপরাধ করে আসছিলো। এই চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।