ফতুল্লা প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নূর ইসলাম (৪৭) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মধ্য নরসিংপুর এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী (আসমা) সহ দুই শ্যালককে (মোজাফফর (৪০) ও শাহজালালকে (২৯)) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহত নূর ইসলাম শরিয়তপুরের ডামুইডা এলাকার আব্দুল জলিল বেপারীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিল। তিনি মধ্য নরসিংপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে একটি জমিতে ঘর তুলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে মধ্য নরসিংপুর এলাকার মরহুম গনি মিয়ার মেয়ে আসমাকে বিয়ে করেন নূর ইসলাম। বিয়ের পরে শ্বশুর গনি মিয়া তাদের থাকার জন্য চার শতাংশের জমি দেন। ওই জমিতে নিজ খরচে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছিলেন তিনি। তাদের সংসারে আশরাফুল ইসলাম ও আরশাদুল ইসলাম নামে দুই ছেলে এবং মানসুরা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জেরে নূর ইসলামের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। পরে তার মৃত্যু হলে সেটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করার জন্য মরদেহটি বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ঘটনার সময়ে নিহতের সন্তানরা মাদরাসায় ও স্কুলে ছিল।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তসলিম উদ্দিন বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেকারণে এই ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধরে নিচ্ছি। ময়নাতদন্তের পরে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সহ স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এটাকে আটক করা যাবেনা। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।