নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার ( ১৬ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ফতুল্লার কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকার একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ চার জন হলেন – সুলতান মিয়া (৬২), তার স্ত্রী শাহিদা খাতুন (৫০), ছেলে স্থানীয় “গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল” এর শিক্ষক নবী হোসেন (২৯) ও আরেক ছেলে অটোরিকশার মেকানিক আলী হোসেন (২৭)।
দগ্ধ নবী হোসেন জানান, চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন তারা। প্রতি রাতে তার ছোট ভাই আলী হোসেন কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে গরম পানি করে গোসল করেন। গত রাতেও সে বাসায় ফিরে পানি গরম করার জন্য রান্নাঘরে যান। সেখানে গিয়ে আগুন জ্বালাতেই বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা তার বাবা-মা, তিনি এবং রান্নাঘরে থাকা তার ছোট ভাইয়ের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে নিজেরাই বাসা থেকে দৌড়ে বাইরে বের হন।পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা তাদের শরীরের আগুন নিভিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আজ ভোরে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক ফখরুদ্দিন আহাম্মদ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জমাটবাঁধা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আশপাশের লোকজন দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানান, শাহিদা খাতুনের শরীরের ৫৩ শতাংশ, নবীর ২২ ও আলীর ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের ৩ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। আর সুলতান মিয়ার শুধু মুখমন্ডলে সামান্য দগ্ধ হয়েছে। তাকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।