ফতুল্লায় বকেয়া ১৭০০ টাকার জন্য গৃহবধূকে বেঁধে রাখলেন দোকানী

এক পরিবারে ২ বোনের বিয়ে ও যৌতুক দাবিতে নির্যাতন, একজনের মৃত্যু

ফতুল্লা প্রতিনিধি :

ফতুল্লায় দোকানের বকেয়া টাকার জন্য এক নারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে পরিধানের কাপড় খুলে একটি ভবনের পিলারের সাথে বেধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ফতুল্লার দাপা শারজাহান রোলিং মিলস এলাকার আল আকসা মসজিদ গলিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। 

ভুক্তভোগী ওই নারী জানায়, আল আকসা জামে মসজিদের সামনে আনোয়ার মিয়ার দোকান থেকে মালামাল মাসিক হিসেবে তারা বাকীতে ক্রয় করতো। তার নিকট ৪হাজার ৭ শত টাকা পাওনা হলে সে দোকানি আনোয়ার কে ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করে বলে যে পূজার জন্য তার মেয়েরা জামা-কাপড়  ক্রয় করেছে। তাই আগামী মাসে বেতন পেয়ে পূর্বের বকেয়া ১৭ শত টাকা পরিশোধ করে দিবে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে ওই নারী দোকানের সামনে দিয়ে হেটে নিজ বাসায় ফেরার সময় পেছন থেকে দোকানদার আনোয়ার এসে তাকে টেনে হিচড়ে দোকানের পাশে একটি বিল্ডিংয়ের বাহিরের পিলারের সামনে নিয়ে গিয়ে তার পরনের উপরের অংশ  কাপড় খুলে বেধে রাখে। এ সময় স্থানীয় পথচারীরা ভীড় জমালে স্থানীয় কিছু মুরুব্বি এসে তার বাধন খুলে দেয়। পরবর্তীতে মাগরিব নামাজের পর মসজদি কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ, আলমগীর সাহেব, নিজ বাড়ীওয়ালা সহ স্থানীয় মুরুব্বিরা তাকে মসজিদের সামনে ডেকে নিয়ে যায় এবং দোকানদার আনোয়ার কে দিয়ে তার নিকট মাফ চাওয়ায়।

আলমগীর হোসেন জানায়, দুপুর বারোটার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে ঘটনাটি দেখেছেন। তিনি দোকানদার আলমগীর কে তখন বকাঝকা করেন। মাগরিব নামাজ বাসায় পরে বের হয়ে তিনি দেখতে পান মসজিদের সামনে মসজিদ কমিটির লোকজন সহ মুসুল্লিরা ঐ নারীর নিকট থেকে আনোয়ার কে মাফ চাওয়ায় দিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন অভিযুক্ত আনোয়ার কয়েকদিন পূর্বে স্ট্রোক করেছিলেন ফলে মাথায় কিছুটা সমস্যা রয়েছে একই সাথে তিনি বলেন সেদিন(ঘটনার দিন) মাগরিব নামাজের পর মসজিদ কমিটির লোকজন ও মুসুল্লিরা যে ভাবে দোকানি আনোয়ার কে অপমান করেছে  তার শাস্তি সে পেয়ে গেছে বলে মনে করেন।

আল আকসা জামে মসজিদ সভাপতি আব্দুস সামাদ বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানান, ঘটনাটা যাতে বড় না হয় সেজন্য তিনি সহ এলাকার মুরুব্বিরা মাগরিব নামাজের পর মসজিদের সামনে বিচার শালিসির মাধ্যমে শেষ করে দিয়েছেন। মহিলাটির পায়ে ধরে মাফ চাইয়ে দিয়েছেন আনোয়ার নামের ঐ দোকানিকে।

 ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, এ বিষয়ে তাকে কেউ অবগত করেনি। তিনি বিষয়টি খোজঁ নিয়ে  ব্যবস্থা নিবেন।