ফতুল্লায় বড় বোন খুন, ছোট বোন আটক

কুপিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুমি (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন সোহানাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার কুতুবআইল কাঠেরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত সুমি কাঠেরপুল এলাকার ওয়ার্কসপ দোকানের মালিক শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

আটক সোহানা জানান, দুপুরে তার বড় বোন সুমিকে বাসায় রেখে দোকানে পুড়ি কিনতে যায়। এরপর বাসায় ফিরে দেখেন সুমিকে অজ্ঞাত এক যুবক মারধর করে পালিয়ে যাচ্ছে। তখন সে বাড়ির কাছেই ওয়ার্কসপে গিয়ে বোন জামাই শহিদুল ইসলামকে খবর দেয়। 

নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম জানান, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে এলাকাতে অবস্থিত নিজের ওয়ার্কসপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যান। দুপুরে তার স্ত্রীর ছোট বোন সোহানা ওয়ার্কশপে এসে জানায় সুমিকে বাসায় রেখে পুড়ি সিঙ্গারা কিনতে সে এলাকার একটি দোকানে যায়। কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এসে দেখে অজ্ঞাত এক যুবক সুমিকে মারধর করে পালিয়ে যাচ্ছে। শহিদুল বলেন, এ খবর পেয়ে তিনি সোহানাকে নিয়ে বাসায় গিয়ে দেখেন তার স্ত্রী সুমি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তার শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে স্ত্রী সুমিকে শহিরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

 ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসলিম জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। নিহতের ছোট বোন সোহানার দেয়া বক্তব্য ও কথাবার্তায় অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহ হয়েছে। এ কারণে তাকে আটক করা হয়েছে।