ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ৯ জুন) সকালে কাশীপুর ইউনিয়নের সরদারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধরা হলেন -রিকশা চালক সালাম মণ্ডল (৫৫), তার স্ত্রী বুলবুলি (৪০), তাদের মেয়ে সোনিয়া (২৭), নাতনী মেহজাবিন (৭) এবং ছেলে টুটুল (২৫)। তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোরে। কাশিপুরে তারা ভাড়ায় থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার কাশিপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় রিকশা চালক পরিবারের সদস্যরা রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিল। সকালে হঠাৎ বিকট শব্দে ঘরের ভেতরে আগুন ধরে যায়। এতে আশেপাশের লোকজন ছুটে যায়। সেখানে তাদের সবার শরীরে আগুন দেখতে পায়। পরে আগুন নিভিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, সালামের ছেলে টুটুল প্রায় সময় মোবাইল সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য মেরামতের উদ্দেশ্যে বাসায় এনে খুটিনাটি কাজ করতো। যেকারণে ধারণা করা হচ্ছে, এসব কাজ করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হয়ে থাকতে পারে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক কাজী মাসুদ রানা বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘরের সিলিংয়ে সাটানো একটি জালী ফ্যানে আগুন ধরে যায়। পরে সেই আগুন ঘরের সদস্যদের শরীরে পড়ে দগ্ধ হন তারা। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা দগ্ধদের মধ্যে সালাম মণ্ডলের শরীরের ৭০ শতাংশ, তার ছেলে টুটুলের ৬০ শতাংশ, মেয়ে সোনিয়া আক্তারের ৪২ শতাংশ, নাতনী মেহজাবিনের ৩৫ শতাংশ ও স্ত্রী বুলবুলির শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের কেউ খবর দেয়নি। যেকারণে বিষয়টি বলতে পারছিনা।