বন্দর প্রতিনিধি :
বন্দরে তানহা আক্তার (১৭) নামে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে নাসিক দক্ষিন লক্ষলখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের পরিবারকে লাশ দেখাতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে হট্টগোলে সৃষ্টি হয়েছে। এর পর থেকেই লাশ বাড়িতে ফেলে কৌশলে পালিয়ে গেছে স্বামী আরিফুল ইসলাম বাবু ও তাঁর পরিবারের লোকজন। এ খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেন।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তানহাকে হত্যা করেছে স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নিহত গৃহবধূ বন্দর ইউপির তিনগাঁও গ্রামের শাহিনুর সিকদারের মেয়ে।
নিহতের বড় বোন তানু জানান, একবছর আগে তানহার বিয়ে হয়। ৯ সেপ্টেম্বর তার ডেলিবারির সময় নির্ধারিত ছিলো। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে আমাদের জানিয়েছে আমার স্ট্রোক করে মারা গেছে। এ খবর পেয়ে বাড়িতে এসে আমার বোনের লাশ দেখতে চাইলে তারা লাশ দেখতে দিচ্ছিলো। জোর করে লাশ দেখতে চাইলে বোনের স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাদের মারধরের চেষ্টা চালায়। আমার বোনের গলায় দাগ রয়েছে এবং জিব্বায় কামড় দেয়া অবস্থায় রয়েছে। আমার বোনকে ওরা হত্যা করেছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু বকর ছিদ্দিক জানান, ঘটনাস্থলে এসআই মফিজুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছে। গলায় ফাঁসির আলামত রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।