ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮ তম আসরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে আয়োজনকরা জানিয়েছেন। সেই সাথে মেলায় প্রায় ৩৯২ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের বাণিজ্যমেলায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৯১ কোটি ৮২ লাখ টাকা) পণ্য রপ্তানির আদেশ এসেছে, যা গত বছরের মেলায় আসা রপ্তানি আদেশের তুলনায় ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। মেলায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমরা কারিগর তৈরি করতে চাই। দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটি গ্রাম থেকে অন্তত ১০ জন করে কারিগর তৈরি করতে চাই। এতে ছয় লাখেরও বেশি মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।
হস্তশিল্পকে সারা বছর ফোকাস করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেছেন। তিনি উদ্বোধন করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য কিনে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করেন তিনি। মাসব্যাপী এই লাখ মানুষের মিলনমেলার ক্ষেত্র তৈরি করে দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তিনি বর্ষ পণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে ঘোষণা করেন। এখানে যারা শিল্পী ও কারিগর রয়েছেন সবাইকে তিনি ধারণ করেন। উনি সবসময় আমাদের অনুপ্রাণিত করেন কীভাবে আমাদের শিল্পকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়। আমাদের পরিকল্পনা আছে হস্তশিল্পকে সারা বছর ফোকাস করা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, মেলার পরিচালক বিবেক সরকার।
আয়োজকরা জানিয়েছে, ২১ জানুয়ারি পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের আসরে স্টলের সংখ্যা ৩৫১ টি। মেলায় মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। দেশগুলো হলো- ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।
এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্টুরেন্ট ও স্টলে বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স, ফার্নিচার, পাটজাত পণ্য, গৃহসজ্জা ও গৃহস্থালি সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্যসহ নানা পণ্য প্রদর্শন করা হয়।