নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মত ব্যক্তি আসলেন নারায়ণগঞ্জে সাথে থাকে ৭-৯ জন মানুষ, জ্বালায় একটা টায়ার। এই দশা দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। একটা পাগলও ওনার জায়গায় কথা বললে তার চেয়ে বেশি লোক হবে। ওনি আসা মানে সাংগঠনিক দক্ষতা কতখানি তা দেখার খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমি খুব লজ্জিত হলাম এবং হতাশ হলাম। এদের (বিএনপি) সাথে খেলবো কিভাবে। এই যদি এদের অবস্থা হয়। ছাত্রলীগও তো বলবেনা ওদের সাথে খেলবো। মহিলালীগও খেলতে চাইবে না, হয়তো জোর করলে তারা রাজি হতে পারে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে আওয়ামী লীগের এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রতিবন্ধী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি কর্মসূচি এখন কে দেবে? সবাই তো এরেস্ট হয়ে গেছে। বাইরে শুধু প্রতিবন্ধী রিজভী রয়েছে। ওরা নাটক দেইখেন, ও কিন্তু বিএনপি কর্মসূচিতে আগুন দেয়। এই মুহূর্তে এরেস্ট হবে দেখবেন হুইল চেয়ারে বসে যাচ্ছে। এমন নাটকবাজ সে। ওরা আওয়ামী লীগের কাকে কাকে বাংলাদেশে টার্গেট করেছে আমি জানি। আমি যদি নাও থাকি আপনারা সবচেয়ে বড় সমাবেশ করবেন।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে বলতে চাই। নারায়ণগঞ্জে যেটুকু করেছেন এনাফ, আর কইরেন না। জনগণ যদি আপনার বাসায় গিয়ে আক্রমণ করে, তখন কি করবেন। আপনি জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করবেন, মহিলাদের ব্লাউজ খুলে ফেলবেন, পুলিশকে মারবেন, গাড়িতে আগুন দিবেন- এখন জনগণ যদি ক্ষেপে গিয়ে আপনার বাড়ি-ঘরে হামলা দেয়। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের মেক্সিমাম (সর্বোচ্চ) ১০ মিনিট সময় লাগে আপনাদের ক্লিয়ার করতে। ওতো শক্তিশালী আপনারা না। আমরা ধৈর্য ধরেছি পুলিশও ধৈর্য ধরছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সবাই যার যার এলাকায় কার সাথে বসছেন কোথায় বসছেন দেখে শুনে বসবেন। খোলা পরিবেশে কেউ বসবেন না। ওরা কিন্তু আর কিছুদিন পর হায়েনার রুপ নিবে। পরাজিত শক্তি যখন দেখবে হেরে গেছে তখন ওরা কিন্তু মরণ কামড় দিবে।
বিএনপির সাথে আলোচনায় বসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন, ইনশাআল্লাহ। ওরা ক্ষমতার ধারে কাছেও যেতে পারবেনা। এমনও হতে পারে দেশ বিদেশ দিয়ে বলানো হতে পারে, দয়াকরে একটু ডাকেন না। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমরা ডাকবো না। আমাদের নেত্রী বলেছেন, আমরা বড় বড় দেশ থেকে শিক্ষা নেই। তাই তিনি বলেছেন, যেদিন ডোনাল ট্রাম্প এবং বাইডেন আলোচনায় বসবেন সেদিন আমরা তদের সাথে আলোচনায় বসবো। আর ওদের ধর-পাকর সেদিন বন্ধ করবো যেদিন দেখবো ফিলিস্তিনির পক্ষে বড় বড় দেশগুলো কথা বলছে সেদিন চিন্তা করবো ওদেরকে ছাড় দিতে পারি কি না। একাত্তরের স্বাধীনতার যুদ্ধের আগে আমাদের এখানকার অনেক মুক্তিযোদ্ধরা একনলের বন্ধুক দেখে নাই, অথচ এরা ৯০ হাজার পাকিস্তানি বাহিনীকে নাকে খত দেওয়াইছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু , জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সহ প্রমুখ।