সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল হক বাদী মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার সাত জন হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান (৪২), নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধান (৪৭), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন (৪০), নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. ফারুক (৪৫), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য ইউসুফ আলী (৬০), গজারিয়া থানার ছাত্রদলের সভাপতি মাহাদী ইসলাম বাবু (৩৫), মুন্সিগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবুল হাসেম (৩৪)। এছাড়া মামলার ২৩ আসামিদের তালিকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।
গ্রেফতার প্রসঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
এর আগে, শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে নেতাকর্মীদের পুলিশ বাধা দেয়। পরে বিএনপি-পুলিশের বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশকে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়তেও দেখা যায়। এতে অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির। সংঘর্ষের সময় বিএনপি নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়েন। এতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফাসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই সময় বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাগর প্রধান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার প্রধান সহ ৫ জন। পরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান কে ছেড়ে দেওয়া হয়।