ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের সড়ক ডিভাইডারে মই দিয়ে পথচারী পারাপার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর অফিসের সামনে রবিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ভিডিও তে দেখা যায়, সড়ক ডিভাইডারের পাশে হেলান দিয়ে একটি মই রাখা হয়েছে। সেই মই বেয়ে নেমে মহাসড়ক পার হচ্ছেন যাত্রীরা। এর বিনিময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন এক যুবক। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ টাকার বিনিময়ে এভাবে মই দিয়ে যাত্রী ও পথচারী পারাপার করছেন ওই যুবক। তবে ওই যুবককে নিয়মিত সেখানে দেখা যায়না।স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো সরাসরি যেন ঢাকায় যেতে পারে, সেজন্য চার লেনের ঢাকামুখী সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে কুয়েতপ্লাজা এলাকা পর্যন্ত উঁচু ডিভাইডার দিয়ে দুই লেন বিভক্ত করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুই লেন রাখা হয়। এতদিন দূরপাল্লার লেন থেকে আঞ্চলিক লেনে যাত্রীদের চলাচলের জন্য সড়ক ও জনপদ (সওজ) কার্যালয়ের সামনে একটি গেট খোলা রাখা হতো। ওখানে দূরপাল্লার যানবাহন গুলো শিমরাইল মোড়ের যাত্রীদের নামিয়ে দিতো। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ করে রেখেছে সওজ কর্তৃপক্ষ। তবে দূরপাল্লার যানবাহন গুলো এখনো ওই স্থানেই যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। এতে প্রায় সময় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এ সুযোগে কয়েকজন অসাধু পরিবহন শ্রমিক ডিভাইডারের দুই পাশে মই দিয়ে টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের পার করে দিচ্ছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মইটি উদ্ধার করেছে। তবে ওই যুবককে পাওয়া যায়নি। তাকে আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা সেখানে কাটা তারের বেড়া দিয়ে দেবেন। এছাড়া ৪০টি বাস পরিবহন ওই স্থানে যাত্রী নামাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস কে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।