ময়লা পানিতে নামলেন শামীম ওসমান

স্টাফ রিপোর্টার :

অবশেষে ডিএনডি এলাকার ময়লা পানিতে নামলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। ডিএনপি প্রকল্পের ফতুল্লা এলাকার ময়লা পানিতে নেমে ভুক্তভোগিদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। 

এর আগে, ডিএনডি এলাকার‘পানি অপসারণ না হলে ময়লা পানিতে নেমে দাঁড়িয়ে থাকার হুমকি দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। 

শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ছুটে যান শামীম ওসমান। পরিদর্শন করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভুগিদের সাথে আলাপ করে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

এই বিষয়ে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, আমরা ৫৮২ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছি এই (ডিএনডি এলাকার) পানি নিষ্কাশনের জন্য। প্রায় ৭৮ কিলোমিটার খাল খনন করা হলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় ময়লা ফেলার কারণে সেটা আবার ভরে গেলো। খাল খনন করা পর যদি ময়লা ফেলে পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে কি করবো আমরা। তাই সেদিন চাপ দেয়ার জন্য আমি নিজে এসেছি। বলেছি, ময়লা পানিতে নেমে যাবো। আমি কোন এমপি সাহেব না, আমি শামীম। যা পেয়েছি মানুষদের কাছ থেকে, তাতে আমার আর চাওয়ার কিছু নাই।

শামীম ওসমান আরও বলেন, সেদিন আমি পানিতে নামার ঘোষণা দেওয়ার পর পানি মন্ত্রণালয়ের টনক নড়েছে। কারণ তারা জানে যে শামীম ওসমান পানিতে নামবে। সাথে সাথে ওনারা কাজ করেছে। আল্লাহর রহমতে ৯০ ভাগ পানি নেমে গেছে। যে পাম্পটি এখানে বসানো হয়েছে, সেটা অনেক দামি পাম্প। প্রকল্পের শুরুর দিকে এটাকে ‘এ’ কেটাগরি হিসেবে রাখা হয়েছে। পরে এটাকে ‘বি’ কেটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাই, প্রকল্পের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২শ ৯৯ কোটি টাকা। পুরো পৃথিবীতে কোভিডের কারনে এই টাকাটা পেতে একটু বিলম্ব হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিয়ে জাতীয় সংসদে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বক্তব্যের পর সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকল্প এলাকাটি পরিদর্শন করে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ডিএনডি ড্রেনেজ অ্যান্ড স্যুয়ারেজ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’ একনেকে উপস্থাপন করা হয়। এরইমাঝে, প্রকল্পটির খরচ বৃদ্ধি হওয়ার কারনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অনুরোধে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে এক হাজার ২৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।