মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে আটক, পুলিশে খবর দিল বাবা

ফতুল্লা প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মধুমালা বেগম (৫৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর ) দিবাগত রাতে দাপা ইদ্রাকপুরস্থ রেলষ্টেশন উকিলবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত ছেলে সুমন মিয়া (৩৫) ওই নারীর দ্বিতীয় সন্তান। 

নিহত মধুমালা বেগম ওই এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে অভিযুক্ত সুমন দ্বিতীয় সন্তান।

স্থানীয়রা জানান, রাত ১ টার দিকে চিৎকার শুনে সড়কের পাশে এসে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলা পড়ে আছে। এর পাশেই তার ছেলে সুমন বটি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। এর কিছুটা দূরে ছিলেন নিহতের স্বামী নুরুল মিয়া দাঁড়িয়ে আছেন । তবে সুমনের হাতে ধারালো অস্ত্র থাকায় কেউ তার নিকট যাচ্ছিলনা। পরে এই ঘটনায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। 

এই ঘটনায় নিহতের স্বামী নুরুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ গিয়ে সুমনকে ধারালো অস্ত্র সহ আটক করেছে।

নিহতের স্বামী নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবার সদস্যদের নিয়ে এখানে বসবাস করছি। বাড়ির কাছে আমার ভাতের হোটেল রয়েছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে ওই হোটেল চালাই। আমার দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সুমন দ্বিতীয় সন্তান। মানষিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সুমনকে তার স্ত্রী তালাক দিয়ে দুই কন্যা সন্তানসহ বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর ৬বছর আগে সুমনকে বিদেশে (ইরাক) পাঠানো হয়। সেখানে দুই মাস থেকে দেশে চলে আসছে। রাতে হোটেল থেকে বাসায় ফেরার পথে দেখতে পাই, সুমন ঘর থেকে বটি নিয়ে এসে রাস্তায় তার মাকে এলোপাথারী কুপিয়ে মুখ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মা মারা যায়। এরপর সুমন বটি হাতে নিয়ে ঘরে গিয়ে খাটে শুয়ে ছিলো। খবর পেয়ে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে সুমনকে ঘর থেকে বটিসহ আটক করে এবং তার মায়ের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে নিহতের স্বজনরা জানায়, নিহতের ছেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরুপ অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।