জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, রূপগঞ্জকে ওরা গাজীগঞ্জ বানিয়ে ফেলেছে। আর এখানে আওয়ামী লীগ নেই , সব গাজী লীগ হয়ে গেছে। আর যারা গাজী পরিবারের চাটুকারিতা করে তারাই আওয়ামী লীগ গিলে খায়, আওয়ামী লীগের পদ-পদবি পায়। আর সেসব লোকেরা দিন শেষে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। আর যারা গাজী পরিবারের চাটুকারিতা করেনা তাদেরকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে হাজতে ঢুকানো হয়। এরকম অনেক আওয়ামী লীগার হাজতে রয়েছে। রূপগঞ্জকে আর গাজীগঞ্জ করতে দেওয়া হবেনা।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পুড়ে যাওয়া গাউছিয়া কাঁচাবাজারের দোকান পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের শান্তনা দেন।
সংসদ সদস্য গাজী একটি মসজিদ তৈরি করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গাজী সাহেব (সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী) হারামের টাকা অনেক কামিয়েছেন, অথচ পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের তিনি মাত্র ৫ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন। ওদের যত টাকা আছে এগুলো সব রূপগঞ্জের টাকা। রূপগঞ্জবাসী এই টাকার মালিক। অথচ তারা সেভাবে জনগণের কল্যাণে কাজ করেনা। এমপি গাজী ১৫ বছর এই আসনের সংসদ সদস্য থাকা সত্ত্বেও একটা মসজিদ ও মন্দির তৈরি করেনি। তারা রূপগঞ্জ কে কতটুকু ভালোবাসে তা আপনাদের বিবেককে জিজ্ঞাসা করে দেখুন।
রূপগঞ্জ ধ্বংস করে ফেলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ নাওড়া এলাকায় সংঘর্ষে আট জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কিছুদিন আগে এক সাংবাদিককে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন। এই হামলাকারীরা সবাই কার লোক, তা আমরা সবাই জানি। তারা রূপগঞ্জকে ধ্বংস করে ফেলতেছে। আমি প্রশাসনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
গাজী পরিবার এক নম্বর ভূমিদস্যু উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্যিকার আওয়ামী লীগার যারা তারা কেউ রূপগঞ্জে বসবাস করতে পারেনা। অথচ যারা এখনকার বাসিন্দা নয়, তারা এসে আওয়ামী লীগের পদ পদবী পেয়ে যায়, কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। গাজী পরিবার কী হারে সন্ত্রাসী করতেছে, তা বলে শেষ করা যাবেনা। তারা রূপগঞ্জের মধ্যে এক নম্বর ভূমিদস্যু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্টদের আমি অনুরোধ করবো আপনারা এই বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখুন।
প্রসঙ্গত, আসন্ন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন সেলিম প্রধান। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর পুত্র পাপ্পা গাজী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে করে তাদের মধ্যে এক ধরনের বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।