নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী মর্ডান একাডেমি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাহাত আহমেদ কে এলোপাথাড়ি চড় থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা-পচিালকের বিরুদ্ধে। মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে উপজেলার আমিন আবাসিক এলাকায় অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি সন্ধ্যার সময়ে প্রকাশ্যে এসেছে।
মারধরের শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থী রাহাত আহমেদ বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার রাসেল আহমেদের ছেলে। তিনি দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন- স্কুলেরর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এবং গণিত শিক্ষক সোহেল।
মারধরের বিষয়ে অভিযোগ করে শিক্ষার্থী রাহাত আহমেদ বলেন, দশম শ্রেণীর ক্লাস শিক্ষক সোহেল স্যার আমাকে ফোন করে পায়নি বলে অভিযোগ তোলেন। মোবাইলে নেটওয়ার্ক ছিলনা বলে আমি তাকে জানিয়েছি। এরপর তিনি আমাদের অংক করতে দেন। অংক সম্পন্ন করে তাকে খাতা দিলে তিনি খাতা ছিড়ে ফেলেন আর আমাকে ৪-৫ টা চড়-থাপ্পর মেরে আমাকে শ্রেণি কক্ষ থেকে বের করে দেন। এরপর তিনি উল্টো আমার নামে গিয়াস উদ্দিন স্যারের কাছে বিচার দিয়েছে। আমি নাকি তার সাথে বেয়াদবি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। এর ভিত্তিতে এমডি স্যার (গিয়াস উদ্দিন ) আমাকে ডেকে নিয়ে প্রায় ২০ টার মত চড়-থাপ্পর মেরেছে। তবে কী অপরাধে আমাকে মারধর করেছে তা জানায়নি।
মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পড়াশোনা করেনি। ওই শিক্ষার্থীকে আমার ছেলে মনে শাসন করেছি, চড়-থাপ্পর মেরেছি। আমি তাকে মারধর করতেই পারি, শাসন করতে পারি।এ বিষয়টা অভিভাবকদের সাথে সমঝোতা হয়েছে। এ বিষয়টা কী সহজভাবে দেখা যায়না?
এ বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করেও স্কুল শিক্ষক সোহেলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আবু তালেব বলেন, কোন শিক্ষার্থীকে মারধর করার নিয়ম নেই। কেউ এমনটি করে থাকলে অন্যায় করেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মোহাইমিন আল জিহান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।