শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল

নিজস্ব প্রতিনিধি :

আওয়ামী লীগ পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করেনা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও ষড়যন্ত্র, পেশিশক্তিতে, গানপাউডারে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনতা তাদের পাশে থাকবে। আর এ দেশের মানুষ একটাই কথা বলে শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। যতদিন শেখ হাসিনা থাকবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। দেশ এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে। আমরা মনে করি, ২০০১ সালের মত এ দেশের জনগণ আর ভুল করবেনা। এ দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও আমাদের জয়যুক্ত করবেন এবং আমরা ২০৪১ ও ২০৩০ এর সকল টার্গেট পুরন করবো, ইনশাআল্লাহ।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নং রেলগেট এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের ডাকা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন। অবশ্যই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে যাবো। ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ পাশের টার্গেট নিয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেক মেধাবী। আমার গর্ব হয়, এই প্রজন্ম নিয়ে। স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর হবে আমাদের নতুন প্রজন্ম।

বাংলাদেশে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশ আজ চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফলে অনেক ক্রাইসিস আমরা মোকাবিলা করতে পারি। বঙ্গবন্ধুর আমলে জাহাজ ঘুরিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছিল। আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজকে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। আমাদের দেশকে প্রধানমন্ত্রী কোন জায়গা থেকে কোথায় নিয়ে এসেছেন। 

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সামনে নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জে রয়েছে পাঁচজন এমপি। সবাই আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব। আজ শামীমের ডাকে আপনারা যেভাবে এসেছেন, এখানে লাখো জনতার ঢল নেমেছে। তার ভাই তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। আড়াইহাজারের নজরুল (সংসদ সদস্য) তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এছাড়া মন্ত্রী গাজী অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি। সোনারগাঁয়ে আরেকজন আছেন জাতীয় পার্টি। সবাই জনপ্রিয়।

উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সাবমেরিন কেবল দিয়ে তথ্য পাচার হয়ে যাবে। আমাদের ডিজিটাল হওয়ার দরকার নেই। আজ সেই সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে যোগাযোগ উন্নত হয়েছে। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। আগে আমরা বিদেশে গেলে বলতো, তোমাদের পরে পাস দেবে, অন্যদের আগে দিতো। এখন আমরা বিদেশে গেলে মাথা উঁচু করে বলতে পারি, আমরা বাংলাদেশের মানুষ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।