সিঙাড়া কিনতে গিয়ে বাকবিতণ্ডা, মারধরে প্রাণ গেল অটোরিকশা চালকের

বন্দর প্রতিনিধি: 

বন্দরেসিঙাড়া কিনতে গিয়ে মারধরে আহত অটোরিকশা চালক মো. মাসুদ মিয়া (২৭) চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেনে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দাশেরগাঁও এলাকায় নিহত মাসুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিহত মাসুদ মুছাপুর ইউপির পাতাকাটা বৈরাগীর পাড় এলাকার শফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে।

নিহতের ছোট ভাই হাসান জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাসুদ অটো মেরামতের জন্য দাশেরগাঁও স্ট্যান্ডে যায়। এ সময় চা-সিঙাড়া খেতে সুমনের চায়ের দোকানে যায়। সিঙাড়ার সাইজ ছোট হওয়ায় দাম জিজ্ঞাস করে। এ নিয়ে দোকানদার সুমন ও মাসুদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দোকানদার মাসুদকে দোকান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। পরে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর মধ্যে হঠাৎ দোকানদার সুমনের ছেলে আব্দুর রহমান পিছন দিক দিয়ে কাঠের ডাসা দিয়ে অটো চালক মাসুদকে মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আনা হয় । রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে মদনপুর বারাকা হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে পর দিন শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপতালে পাঠানো হয়। এ সময় অটো চালক মাসুদ অতিরিক্ত বমি ও পাতলা পায়খানা করতে শুরু করে। এতে ভিক্টোরিয়া হাসপতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপতাপালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত্যু হয়। রোববার সকালে পুলিশ নিহতের সুরতহাল প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, নিহত মাসুদ মুছাপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পাতাকাটা বৈরাঙ্গীরপাড় এলাকার শফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর পর দাশেরগাঁও স্থানীয় মাতব্বররা দোকানদার সুমন ও তার ছেলেকে আটক করে রাখে। পরে স্থানীয় ভাবে উভয়ের মধ্যে মিমাংশা করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার রাতে মারা যায় অটোচালক মাসুদ।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বক্কর জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পালিয়ে গেছে। তবে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধিন।