হত্যা মামলায় জাকির খানের বিরুদ্ধে দুই জনের সাক্ষ্য

নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে তারা সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

সাক্ষ্য প্রদানকারী দুজন হলেন – নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের বোন কামরুন্নেছা ও নিহতের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের স্টাফ মো. রফিক।   

আসামি পক্ষের আইনজীবী মো: রবিউল হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাব্বির আলম হত্যা মামলায় দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে একজন সাব্বির আলম খন্দকারের বোন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তবে কে এবং কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেনি। এমনকি তিনি জাকির খানের নামও বলতে পারেনি। এ বিষয়ে তাকে জেরা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ এই মামলায় ৫৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তারা কেউ জাকির খানের বিরুদ্ধে জোরালো কোন সাক্ষী দিতে পারেনি।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী ও নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের মেয়ে ফাতেমাতুজ্জ জোহরা সবনম বলেন, আজকে দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া তাদের জেরাও করা হয়েছে। এই মামলায় আগামী ২৮ মে আরও সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবেন।

এদিকে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে জাকির খানকে হাজির করা হয়। আদালতে জাকির খানকে হাজির করার খবরে তার শত শত কর্মীসমর্থকরা আদালত পাড়ায় ভিড় জমায়। এ সময় তার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। দুপুরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।প্রসঙ্গত, 

২০০৩ সালের শুরুর দিকে অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালীন একটি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে সাব্বির আলম খন্দকার নিজের জানাজায় সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্য দেওয়ার কয়েকদিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারি শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে আততায়ীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। এরপর ওই দিনই নিহতের বড় ভাই ও তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।