বাণিজ্য মেলায় দ্বিগুণ বেড়েছে বেচা-বিক্রি, সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা


BANGLAR NARAYANGANJ | Banglar Narayanganj প্রকাশিত: Jan 22, 2025 বাণিজ্য মেলায় দ্বিগুণ বেড়েছে বেচা-বিক্রি, সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচল শহরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর জমে ওঠেছে। বিগত সময়ের তুলনায় দ্বিগুন বেচা-বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে ব্যবসায়ীদের মুখে হাঁসি ফুটে উঠেছে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বিকেলে পূর্বাচল উপ-শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেছে, ‘বিকেল থেকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। মেলার স্টলগুলোতে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এতে করে ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

হাতিল ফার্ণিচারের অফিসার মাহফুজুল হক বলেন, এবারের মেলায় অনেক লাভ হয়েছে। বিগত মেলার তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ বেশি বেচা-বিক্রি ও লাভ হয়েছে।  সোফা, ডাইনিং টেবিল সহ বিভিন্ন মডেলের নতুন নতুন পণ্য এসেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রায় তিন কোটি টাকার অধিক বিক্রি হবে। ফলে আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি বেচা-বিক্রি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের মত এবারো হাতিল ফার্ণিচারে ৫-১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে। এর সাথে ফ্রি ডেলিভারীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে ক্রেতাদের আগ্রাহ আরও বেড়েছে। 

তারিক কার্পেট ইন্ডাস্ট্রিয়াসের মালিক মোহাম্মদ আয়াজ বলেন, আগের তুলনায় আমাদের বেচাকেনা অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন ১০-১২ টি করে কার্পেট বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে গত ১০ দিন ধরে এই বিক্রির পরিবার বেড়ে গেছে। তাছাড়া অনলাইনেও অনেক ক্রেতারা যোগাযোগ করে নানা পণ্য কিনে নিচ্ছেন। 

মেলায় ঘুরতে এসে কাশ্মীরি শাল কিনছেন তমা বেগম। তিনি বলেন, মেলায় অনেক পণ্যের দাম রিজেনেবল মনে হয়েছে। এছাড়া আনকমন কিছু পণ্য মেলায় উঠেছে। সেসব পণ্য কিনেছি। পরিবারের সকল সদস্যের জন্য অনেক কিছু কিনেছি। 

আনিস মিয়া তার মেয়ের জন্য পুতুল কিনছেন। তিনি বলেন, আমার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। সে বায়না ধরেছে পুতুন কিনে দেয়ার জন্য। তাছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য শীতের কাপড় সহ নানা পণ্য কিনেছি।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, এবারের মেলার আসর পুরোদমে জমে উঠেছে। দিন যত অতিবাহিত হচ্ছে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা তত বাড়ছে। আশা করি, আমরা খুব ভালো কিছু করতে পারবো। 

প্রসঙ্গত, এবারের মেলার আসরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্তোরাঁ আছে। ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে টিকিট কেটে সহজেই মেলায় প্রবেশ করা যাচ্ছে। মাসব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকছে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।