নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে খুব শিঘ্রই সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে খেলার উপযোগী করে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। স্টেডিয়ামটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে আড়াইশ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
শনিবার (২৭ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় শেখ রাসেল নগর পার্ক মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি দীর্ঘদিন যাবত পানির নিচে তলিয়ে আছে। এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বাস্তবায়নযোগ্যতা নিরীক্ষা বা ফিজিবিলিটি স্টাডি করে রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে। স্টেডিয়াম সংস্কারে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আশা করি, খুব শিগগিরই স্টেডিয়ামের উন্নয়নের কাজ শুরু হবে এবং খেলার উপযোগী করা হবে।’
শুধু ফতুল্লার স্টেডিয়াম নয়, সারা দেশে স্টেডিয়াম নির্মাণ ও আধুনিকায়নের কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খেলাধুলার মান বাড়াতে সারা দেশে ২৬টি জেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ ও রাজধানীর আশপাশের জেলা স্টেডিয়ামগুলোকে আধুনিকায়নসহ নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে।’
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত ২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামটি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত হয়। ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে স্টেডিয়ামটি পানির নিচে তলিয়ে আছে। আউটার স্টেডিয়ামের অবস্থাও একই। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্যবহার না হওয়ায় অযত্ন আর অবহেলায় স্টেডিয়ামের মূল গ্রাউন্ড, গ্যালারিসহ সবকিছু ধ্বংসপ্রায়।
পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় স্টেডিয়ামের ভেতরে মাদকসেবীদের আড্ডা জমে উঠেছে। চুরি হয়ে গেছে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের অনেক যন্ত্রাংশ। স্টেডিয়ামটি আইসিসি অনুমোদিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। কিন্তু অবহেলায় আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার যোগ্যতাতেও নেই। বিষয়টি অজানা নয় যুব ও ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলেরও।
আপনার মতামত লিখুন :